বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য বিনোদন

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ২২ জুলাই ২০২৫

পোড়ার কষ্ট যেকোনো যন্ত্রণার চেয়ে আলাদা: শারমিন আঁখি 

পোড়ার কষ্ট যেকোনো যন্ত্রণার চেয়ে আলাদা: শারমিন আঁখি 
ছবি: ফেসবুক

সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অনেকেই চিকিৎসাধীন আছেন।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। আগুনে দগ্ধ হয়ে দীর্ঘ চিকিৎসাজনিত অভিজ্ঞতা থেকেই এমন পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে শারমিন আঁখি লেখেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে এই সময়ে। আগুনে পোড়ার পরবর্তী এফেক্ট হচ্ছে ইনফেকশন। চিকিৎসাধীন বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে দয়া করে আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মুহূর্তে তাদের দেখতে যাবেন না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের চামড়া জীবাণুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। যেখানে চামড়াই নেই, সেখানে প্রটেকশন একদম শূন্য। ইনফেকশনের কারণেই বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। পোড়ায় মরে না। পোড়ার কষ্ট অন্য যেকোনো যন্ত্রণার চেয়ে আলাদা। শুধু ওপরটা নয়, ভেতরের অংশও পুড়ে যায়। ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরও অসহনীয়। নতুন চামড়া এলেও তা ঘষে আবার তোলা হয়। ট্রমা শুরু হবে আরও কিছুদিন পরে। এখন প্রতিটি বাচ্চাই অনুভূতিশূন্য অবস্থায় আছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসক ছাড়া কারও উপস্থিতি তাদের জন্য নিরাপদ নয়।’

শারমিন আঁখি জানান, বাসায় ফেরার পর দগ্ধ প্রতিটি শিশুর মনোসামাজিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি মিরপুরের একটি শুটিংবাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শারমিন আঁখি গুরুতর দগ্ধ হন। সেদিনই তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণে তার হাত, পা, চুলসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ওই বছরের মার্চে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান তিনি।