ভোলায় ৩০ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু
ভোলায় গত ৩০ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পৃথক ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে ভোলা সদরে ২ জন, দৌলতখানে ১ জন, লালমোহনে ৪ জন, তজুমদ্দিনে ১ জন এবং চরফ্যাশনে ২ জন রয়েছেন।
ভোলা সদর:
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে ভোলা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চৈতী রানী দাস (১৯) নামের এক গৃহবধূ নিজ বাসায় জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি দুবাই প্রবাসী সুভাষ চন্দ্রের স্ত্রী।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সুমন চন্দ্র দে (৪৫) নামের এক পশু চিকিৎসক নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
দৌলতখান:
জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর গ্রামে রাফি (১৭) নামের এক কিশোর আত্মহত্যা করেন। তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
লালমোহন:
উপজেলাটিতে পানিতে ডুবে ৩ শিশু ও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
চরভূতা ইউনিয়নে ১৮ মাসের শিশু আলিফ, কালমা ইউনিয়নে দুই সহপাঠী নুসরাত (৫) ও মোহনা (৫) পুকুরে ডুবে মারা যায়।
এছাড়া সোমবার সকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রিজিয়া বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হয়।
তজুমদ্দিন:
চাঁদপুর ইউনিয়নে সোমবার দুপুরে অটোরিকশার চাপায় ইভা মনি (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
চরফ্যাশন:
আসলামপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কিশোর—জুবায়ের ইসলাম (১৪) ও জিহান (১৫)—এর মৃত্যু হয়। তারা বৈদ্যুতিক ইঁদুর ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হক বলেন, “এই মৃত্যুগুলোর অধিকাংশই অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার পর পরিবারগুলোকে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।” সূত্র: চ্যানেল২৪



























