নিজেই সাজিয়েছেন নিজের অপহরণের নাটক: জিএমপি
পঞ্চগড়ে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী (৬০) নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান।
তিনি বলেন, ‘মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নিজেই পরিকল্পিতভাবে অপহরণের ঘটনা সাজান এবং বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
গত ২৩ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে পায়ে শিকল পরা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন টঙ্গী পূর্ব থানায় তিনি নিজেই মামলা করেন, যেখানে অভিযোগ করা হয়—২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গীর শিলমন এলাকায় মর্নিং ওয়াকের সময় তাকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে অপহরণ করা হয় এবং নির্যাতনের পর পঞ্চগড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
তবে তদন্তে পুলিশের কাছে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। তদন্ত দল ঘটনাস্থল ও তার বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখতে পায়, ঘটনার সময় এলাকায় কোনো অ্যাম্বুল্যান্স চলাচল করেনি। বরং ফুটেজে দেখা যায়, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নিজেই অটোরিকশায় চড়ে যাচ্ছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার অবস্থান ছিল ঢাকার সোবাহানবাগ এলাকায়। পরে তিনি গাবতলী থেকে পঞ্চগড়গামী বাসের টিকিট কেটে দুপুর ২টার বাসে রওনা দেন। যাত্রাপথে বগুড়ার শেরপুরের একটি হোটেলে নামাজ আদায় করে রাতে পঞ্চগড়ে পৌঁছান।
তদন্তে বাসের সহযাত্রী ও সুপারভাইজারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা তাহেরুল হক চৌহান জানান, ‘ইমাম মুহিব্বুল্লাহ পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আজ আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।’
তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটির পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য বা সহযোগী ছিল কি না, তা যাচাই করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।



























