জুলাই আন্দোলন: আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার শুরু আজ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ বুধবার (২৭ আগস্ট)। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুরও কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট আদালত ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন। এদের মধ্যে ছয়জন বর্তমানে গ্রেপ্তার থাকলেও বাকি ২৬ জন, যাদের মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিও রয়েছেন, এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তাদের উপস্থিতিতেই আজ আদালতে প্রসিকিউশন বক্তব্য উপস্থাপন করবে।
গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা শুনানি করেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন মামুনুর রশীদ। এছাড়া আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলামও শুনানিতে অংশ নেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন গাজী এমএইচ তামিমের নেতৃত্বে মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে, ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে পৃথকভাবে শুনানি হয়। শরিফুল ইসলামের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজনের হয়ে আজিজুর রহমান দুলু এবং ইমরানের পক্ষে সালাহউদ্দিন রিগ্যান। তাদের আইনজীবীরা প্রত্যেকেরই অব্যাহতি চান।
প্রসঙ্গত, ২৮ জুলাই ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আদালত ৩০ জুন অভিযোগপত্র আমলে নেয় এবং এর আগে ২৪ জুন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।