বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সায়েমের জ্ঞান ফিরেছে ৬ দিন পর, ফ্রিজে এখনও মামুনের মাথার খুলি

সায়েমের জ্ঞান ফিরেছে ৬ দিন পর, ফ্রিজে এখনও মামুনের মাথার খুলি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমকে ছয় দিন পর লাইফ সাপোর্ট থেকে সরানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাত-পা নাড়াচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার অবস্থাও ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে সায়েমের শারীরিক অবস্থার ওপর দ্বিতীয় দফায় মেডিকেল বোর্ড বসে। এতে নিউরোসার্জন ও নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষামূলকভাবে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। গত ছয় দিন ধরে সায়েম নিথর অবস্থায় আইসিইউতে ছিলেন। রোববার শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মাথায় রামদার কোপ লেগে তার খুলিতে গুরুতর আঘাত লাগে।

চবির তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

চবির তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের সশস্ত্র হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গত শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে স্থানীয়রা রড, রামদা ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। অনেক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

চবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০০ শিক্ষার্থী আহত, আইসিইউতে দুজন 

চবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০০ শিক্ষার্থী আহত, আইসিইউতে দুজন 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা এলাকায় দুই দিন ধরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে ৭৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে, ১০০ জন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এবং ২২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত লেগেছে, তবে অনেকের পিঠ, বুক ও হাতেও জখম রয়েছে। চমেক হাসপাতালে আহতরা ২৫, ২৬, ২৭ ও ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

চবি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু

চবি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর অবশেষে মাঠে নেমেছে যৌথবাহিনী। রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের আশপাশে যৌথবাহিনীর অন্তত ১০টি গাড়ি প্রবেশ করে অভিযানে অংশ নেয়। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় টানা সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল সাড়ে ৩টায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে ধারা জারির প্রায় আধঘণ্টা পর যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।