বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১৮, ৩১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২০:১৯, ৩১ আগস্ট ২০২৫

চবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০০ শিক্ষার্থী আহত, আইসিইউতে দুজন 

চবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০০ শিক্ষার্থী আহত, আইসিইউতে দুজন 
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা এলাকায় দুই দিন ধরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে ৭৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে, ১০০ জন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এবং ২২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত লেগেছে, তবে অনেকের পিঠ, বুক ও হাতেও জখম রয়েছে। চমেক হাসপাতালে আহতরা ২৫, ২৬, ২৭ ও ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

আইসিইউতে থাকা দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নাইমুর রহমান, যিনি বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যজন পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাটহাজারী থেকে ট্রাকে করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি নেতা উদয় কুসুম বড়ুয়ার উস্কানির কথাও উঠেছে। শিক্ষার্থীরা চবি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন।

স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রাজন বলেন, ‘শনিবার রাতে ও রোববার দুপুরে হাটহাজারী বাজার থেকে চাপাতি, দা, কিরিচ, বঁটি ও রামদা নিয়ে অপরিচিত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। অনেককে ধানি জমিতে তাড়া করে, বাসা থেকে বের করে ছাদে নিয়ে যায় এবং পড়ার টেবিল থেকে টেনে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।’

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সবুজ জানান, হামলাকারীদের হাতে রামদা, কিরিচ ও হকি স্টিক থাকলেও শিক্ষার্থীদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। প্রশাসনের উপস্থিতিতেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

আইইআর বিভাগের শিক্ষার্থী তানসিকুর রহমান বলেন, ‘জোবরা গ্রামবাসী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, যেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা জড়িত। বিএনপি নেতা উদয় কুসুম বড়ুয়াও হামলায় উস্কানি দিয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, শনিবার রাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও রোববার ভোরে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়।

জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলা সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: আমারদেশ

সর্বশেষ