৫৩ বছর পর চাঁদের পথে নাসার নভোচারী

৫৩ বছর পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে মানুষ পাঠাতে যাচ্ছে নাসা। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৭ এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে আর্টেমিস-২ মিশন, যেখানে চার নভোচারী—আমেরিকান রিড ওয়াইজম্যান, ভিক্টর গ্লোভার, ক্রিস্টিনা কচ এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির জেরেমি হ্যানসেন দশদিনের এক বিশেষ অভিযানে অংশ নেবেন। তবে এইবারের লক্ষ্য সরাসরি অবতরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযান নির্বিঘ্ন করতে রকেট-মহাকাশযান এবং ডকিং-সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা।
নভোচারীরা ভ্রমণ করবেন ওরিয়ন ক্যাপসুলে। যাত্রাপথে রকেটের বিভিন্ন ধাপ আলাদা হয়ে যাবে, সৌর প্যানেল শক্তি জোগাবে, আর ধাপে ধাপে পরীক্ষা হবে যানের সব সিস্টেম। ভবিষ্যতে চাঁদে অবতরণকারী যানের সঙ্গে সংযুক্তির অনুশীলন হিসেবে তারা ডকিংয়ের মহড়াও করবেন।
চাঁদের পথে চার দিনের যাত্রায় তাঁরা পৃথিবী থেকে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মাইল দূরে চলে যাবেন, যা আগের যেকোনো মিশনের চেয়ে বেশি। এই সময় নভোচারীদের রক্তকোষ থেকে তৈরি টিস্যু বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানবেন, মহাশূন্যের মাইক্রোগ্র্যাভিটি ও তেজস্ক্রিয়তা মানবদেহে কী প্রভাব ফেলে।
অভিযান শেষে ওরিয়ন ক্যাপসুল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে সমুদ্রে নামবে। নাসার পরবর্তী আর্টেমিস-৩ মিশন কত দ্রুত শুরু হতে পারে তা নির্ভর করবে এই মিশনের সফলতার ওপর। নাসা জানিয়েছে, স্পেসএক্সের স্টারশিপ পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় চাঁদে অবতরণের সেই ঐতিহাসিক মিশন ২০২৭ সালের আগে সম্ভব নয়।