সরকার জামায়াত-বিএনপিকে খুশি করলেও জনগণকে ফাঁকি দিয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অস্পষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে তা আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করার দাবি করেছে। দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন শুক্রবার বাংলামোটরের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আদেশটি এমনভাবে জারি করা হয়েছে যে, ক্ষমতাবানরা নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাচ্ছে।
আখতার হোসেন বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, সরকার জুলাই সনদ কীভাবে কার্যকর হবে তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করবে। কিন্তু আদেশে এমন অস্পষ্টতা রয়ে গেছে যে, পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, গণভোটকে ভাগ করে বিভিন্ন সংস্কার আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে এবং কিছু সংস্কারকে কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমত অনুযায়ী প্রক্রিয়া বিষয়ে স্পষ্টতা নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং অন্যান্য বিষয় আদেশে অসম্পূর্ণভাবে উল্লেখ আছে। উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি কারা যাবেন, নারীর অংশগ্রহণের ১০ শতাংশ বিধি, এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।
আখতার হোসেন বলেন, “আমরা জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই। কিন্তু আদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিভক্ত হওয়ার কারণে আংশিক বাস্তবায়নের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১৮০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন ব্যর্থ হলে তার ফলাফল সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে কি না, তা অস্পষ্ট।”
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ নিয়ে দায়বদ্ধতা দেখায়নি। আদেশের মাধ্যমে সরকার রাজনৈতিক দলকে খুশি করলেও জনগণকে ফাঁকি দিয়েছে। মৌলিক সংস্কারের পথে এগোনো সম্ভব হবে না।” তিনি গণভোটের হ্যাঁ ভোট প্যাকেজেও অস্পষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে, সরকারকে তা স্পষ্ট করতে হবে এবং তারপরই এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।



























