বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ১১ জুলাই ২০২৫

জুলাই সনদ, বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে: হাসনাত

জুলাই সনদ, বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে: হাসনাত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নয় এনসিপি, বরং সংস্কারের নামে যারা নির্বাচন বিলম্ব করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার সকালে যশোরে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে যশোরের একটি হোটেলে আয়োজিত সভায় হাসনাত বলেন, ‘আমরা নির্বাচন চাই, তবে সেটা হবে একটি প্যাকেজ চুক্তির ভিত্তিতে জুলাই সনদ, বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগের যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল, তা ত্রুটিপূর্ণ। সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফেরা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’

হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভোট ফেরানোর নামে আবারও অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আমাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এজন্য ৫ আগস্টকে ‘মব’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে।’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরের আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হলেও শীর্ষ নেতারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত। ত্যাগী কর্মীদের সঙ্গে এই বেঈমানি চলতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাঠের বাইরে বসে খেলা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। খেলতে চাইলে মাঠে নামতে হবে। এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে বিএনপির অনুমতি ছাড়া কিছুই করা যাচ্ছে না—এটা চলবে না। কমিশনের অনেক সদস্যের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে জুলাই যোদ্ধারা।’

তিনি একটি স্বাধীন, বাংলাদেশপন্থি নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম ও সরকার গঠনের আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘ব্যক্তিপূজার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

সভায় আহতদের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছেন না। তবে এনসিপি আহতদের চিকিৎসায় সক্রিয় ভূমিকা নেবে।’

সভায় এনসিপি নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদ দ্রুত ঘোষণার পাশাপাশি তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গণপরিষদ ছাড়াই এটি সম্ভব নয় বলা হলেও, সংবিধান পরিবর্তন জরুরি। নইলে আওয়ামী লীগই থেকে যাবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুমসহ যশোরের চার শহীদ পরিবারের সদস্য ও ১৫ জন আহত ব্যক্তি।