শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

|৯ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

জুলাই সনদের আলোকে রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: উপদেষ্টা আদিলুর
‘নির্বাচনকে সামনে রেখে তত্ত্বাবধায়কের আদলে দেশ পরিচালনা করতে হবে’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই: মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া দেখেই সই করবে এনসিপি
হযরত শাহজালালের আগুন তদন্ত চার দেশের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ
ঝালকাঠিতে বাইকের পেছনে বাসের ধাক্কা, বিএনপি নেতার মৃত্যু
‘মাদক ছুতো’য় ভেনেজুয়েলা ঘিরে ফেলেছে আমেরিকা, অভিযোগ মাদুরোর
নির্বাচন ঘিরে ইসিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৪ প্রস্তাব
সাগরে নিম্নচাপ, পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, নাম হবে মন্থা
‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া জরুরি’
মধ্যরাতে উঠে যাচ্ছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা, প্রস্তুত জেলেরা
ডেঙ্গু শনাক্ত ৬৪ হাজার ছাড়ালো

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ইসলামী রাজনীতি করার ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের সচেতন হওয়া দরকার: রাশেদ খান

ইসলামী রাজনীতি করার ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের সচেতন হওয়া দরকার: রাশেদ খান
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও জামায়াত-শিবিরের সচেতন হওয়া দরকার বলে মনে করেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নেই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এই কৌশলের কারণে আপনি বুঝেশুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন রাশেদ খান। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থী ধারায় চলছে বলেও জানান তিনি।

রাশেদ খান তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থী ধারায় চলছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে মানুষ ভুল মেসেজ পাবে। ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থী রাজনীতি করলে, সেটাই করা উচিত।'

অন্য দলের কর্মী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করে পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘জামায়াত এবং শিবিরের অন্যদলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এই নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণ অধিকার পরিষদ ও এনসিপি।’

তিনি বলেন, ‘তারুণ্যের এই দুই দলের পাশাপাশি বিভিন্ন দলেও তাদের নিজেদের লোক যুক্ত রেখে সেই দলগুলোকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, দলের মধ্যে সন্দেহ-সংশয়ও বাড়িয়েছে। এমনকি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনেও পরিচয় অপ্রকাশ্য রেখে যুক্ত করার নীতির কারণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদলে যুক্ত করার এই নীতি থেকে বাম-ডান-মধ্যপন্থী কেউই ছাড় পায়নি।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবির সবচেয়ে সেরা সময় উপভোগ করছে জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘তারা যদি বাংলাদেশে মধ্যপন্থী ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, সেটাকেও সাধুবাদ জানাব। কিন্তু তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্যদলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে। দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

শেষে তিনি বলেন, ‘পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নেই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এই কৌশলের কারণে আপনি বুঝেশুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। এই ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।’

সর্বশেষ