সিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
‘চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে ‘সুস্পষ্টভাবে’ তুলে ধরব’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে তিনি চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন সংক্রান্ত শুনানিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পেলে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে চীনের সম্পৃক্ততা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি সম্পর্কে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে কাজ করবেন তিনি।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদন পেলে তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
শুনানিতে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন ও চীনের তৈরি জে–১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনার মতো উদ্যোগ চীনা প্রভাব বাড়াচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব, যাতে তারা চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশকে জানাতে পারে, যাতে বিকল্প সামরিক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হয়।
লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের গণআন্দোলন ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে উন্মুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশ গঠনে বাংলাদেশ একটি অপরিহার্য অংশীদার।



























