সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিকল্প জীবিকা ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় সরকার টেকসই ও সমন্বিত পরিকল্পনার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দরিদ্র কৃষিজীবী পরিবারকে লবণ ও জলবায়ু সহনশীল ফসল চাষে সহায়তা, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, কারিগরি সহযোগিতা এবং কম্পোস্ট ও ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া। নারকেল গাছে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালনে সহায়তা এবং বাড়ির আঙিনায় ছোট নার্সারি স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জাল এবং টেকসই উপায়ে মাছ ধরার সরঞ্জাম সরবরাহের কথাও জানান উপদেষ্টা। এছাড়া জামাকাপড় সেলাই, টুপি তৈরি, ধাত্রীবিদ্যা এবং কম্পিউটার, মোটর ড্রাইভিং, নৌযান চালনা, ইলেকট্রনিকস ও হোটেল ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন ট্রেডে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্থানীয় যুবকদের ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা এবং ‘পরিবেশ গার্ড’ গঠন করে প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগও সভায় আলোচিত হয়।
সভায় ‘স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং’, ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকা প্রকল্প’, ‘ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোপোজাল’ এবং ‘সাস্টেইনেবল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন ও বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. নাভিদ শফিউল্লাহ, ড. ফাহমিদা খানম ও মো. খায়রুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সিইজিআইএস, মৎস্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।