৯৭ মিলিয়ন ডলার পাচার: সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযোগপত্র
বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১২শ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে জানা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তাঁদের সহযোগীরা ১৭টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে রপ্তানির নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। এ অর্থ পরে দুবাইয়ের আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং-এর মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সিআইডি বাদী হয়ে ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে আসামিদের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্রোককৃত সম্পদের মূল্য প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।
এ মামলায় কারাগারে থাকা সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠান 'অটাম লুপ অ্যাপেরিয়েলস' এর এমডি ওয়াসিউর রহমানকে গত জুলাইয়ে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, রাষ্ট্রের অর্থপাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠিদের আইনের আওতায় আনা এবং রাষ্ট্রের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সিআইডির এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























