সিআইডি ‘ঢালাও মামলা’ করছে, এমন সংবাদের প্রতিবাদ
জনশক্তি রফতানিতে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে সিআইডি ‘ঢালাও মামলা’ করছে -এমন সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় সিআইডি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দৈনিক ইত্তেফাক ও ভিন্ন ভিন্ন তারিখে অন্যান্য কিছু সংবাদমাধ্যমে জনশক্তি রফতানিতে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে সিআইডি ‘ঢালাও মামলা’ করছে এমন তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা সিআইডি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিআইডি একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা আইনের আওতায় থেকে অপরাধের তদন্ত পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে করা মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে প্রায় ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি পরস্পর যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অন্য হাজারো রিক্রুটিং এজেন্সিদের বঞ্চিত করে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে একচেটিয়াভাবে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত খরচের কয়েকগুণ করে টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেছে। এইভাবে শুধু মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর নামে সিন্ডিকেটের এজেন্সিগুলো প্রায় ১০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং করেছে।
সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধান অনুযায়ী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান করে প্রকৃত অপরাধী যাদের সম্পর্কে মানি লন্ডারিংয়ের সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করাসহ সকল আইনি বিধান প্রতিপালন করছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পাচার করা লক্ষ-কোটি টাকা বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ এবং শ্রমবাজার থেকে লুণ্ঠিত সেই টাকা ফিরিয়ে আনা ও অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা দায়িত্বশীল রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে সিআইডির মৌলিক দায়িত্ব। সিআইডি সেই পবিত্র ও আইনানুগ দায়িত্ব পালন করছে। এক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা করার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটি প্রকৃত অর্থে সত্য নয়। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রকৃত সত্য।-নির্ভর সংবাদ পরিবেশনের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আগে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে পল্টন থানায় করা মামলার সঙ্গে সিআইডি’র করা মানিলন্ডারিং মামলার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সিআইডি মানিলন্ডারিং আইনের যথাযথ বিধিমালা অনুসরণ করেই অভিযোগ আনয়ন ও তদন্ত পরিচালনা করছে।
সুতরাং জনমনে যেন ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয় এজন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই নিশ্চিত করার জন্য সিআইডি’র সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ এবং গণমাধ্যমে অত্র প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করার অনুরোধ করা হলো।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























