গ্রেটা থুনবার্গসহ ফ্লোটিলার ১৬৫ জনকে গ্রিসে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
গ্রেটা থুনবার্গসহ 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা'য় অংশ নেওয়া ১৫৬ জন অভিযাত্রীকে গ্রিসে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল সরকার। খবর আনাদোলু।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল আই ২৪ নিউজ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিসের নাগরিক ও গ্রেটা থুনবার্গসহ অভিযাত্রীদের একটি বিশেষ বিমানে করে গ্রিসে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে, গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। এর নেতৃত্ব দেয় চারটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জোট ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’। এর সংগঠনগুলো হলো: ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা, সুমুদ নুসানতারা।
ফ্লোটিলা মিশনে অংশ নিয়েছিলেন ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ নাগরিক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী গ্রেটা থুনবার্গ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ আইনজীবী, কেউ পার্লামেন্ট সদস্য, কেউ রাজনীতিক আবার কেউবা স্বেচ্ছাসেবী।
গত বুধবার রাতে, ফ্লোটিলার প্রথম দফার ১৩টি নৌযান আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। তবে এরপরও বাকি ৩০টি নৌযান গাজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল পোল্যান্ডের নৌযান ‘ম্যারিনেত্তি’।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, একে একে বাকি সব নৌযানও আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। আটক নৌযান ও অভিযাত্রীদের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়।
আটক অভিযাত্রীদের মধ্যে ছিলেন গ্রেটা থুনবার্গও। আই ২৪ নিউজ জানায়, কিছু অভিযাত্রীকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাকিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
গ্রেটার সঙ্গে ইসরায়েলে থাকা সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেটা তাদের জানান, তাকে ছারপোকায় ভর্তি একটি কারকক্ষে রাখা হয়েছে, এবং সেখানে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এছাড়াও গ্রেটা অভিযোগ করেন, তাকে জোর করে ইসরায়েলের পতাকাকে চুমু দিতে এবং সেই পতাকা ধরে ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযাত্রী দলের সদস্য ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো ডি’ আগুস্টিনো বলেন, ‘গ্রেটাকে হামাগুড়ি দিয়ে চলতে, ইসরায়েলের পতাকাকে চুমু খেতে এবং সেই পতাকা গায়ে জড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে— আমরা সবাই তা দেখেছি।‘



























