মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা বিএনপির চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমেরও তীব্র নিন্দা জানায়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হল পাড়া থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী সোহাগকে যুবদলের নেতাকর্মীরা চাঁদা না দেওয়ার কারণে পাথর দিয়ে হত্যা করেছে এবং হত্যার পর তার মরদেহের ওপর নৃত্য করেছে—যা বর্বরতা ও অন্ধকার যুগের চিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেয়। দেশের মানুষ এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দেশকে নতুনভাবে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি, অথচ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোই এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোহাগ হত্যার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেশের মানুষের অন্তরে নাড়া দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। এমন অবস্থায় তারা ‘চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য’ গড়ে তুলেছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে জুবায়ের বলেন,`আপনার দলকে সামলান। আওয়ামী লীগের পথে হাঁটবেন না, তা হলে তারাই আপনাদের পরিণতির প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়াবে।`
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিএনপি নিজেদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর মজলুম থাকার পর তারা এখন জুলুমের পথে হাঁটছে। তিনি বলেন,`চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। গত দশ মাসে বিএনপির হাতে একশরও বেশি মানুষ খুন হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।`
এ সময় তিনি আরও বলেন,`সংস্কার ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সন্ত্রাসের রাজনীতিকে অবসান ঘটাতে হবে।`