এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার কমে ৫৮.৮৩ শতাংশে
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় অনেক কম। গত বছর এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়। পরে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুন। মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৭২ হাজার ৮৮৩ জন কম। এসব শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৮০৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৬ হাজার ১০২ জন, যা গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৯৭৪ জন কম। ২ হাজার ৬৮২টি মাদ্রাসার এসব শিক্ষার্থী ৪৫৯টি কেন্দ্রে অংশ নেন। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ভোকেশনাল ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ২৫ জন কম। এসব পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৮২৪টি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ৭৩৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন।
গত ১৯ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়, আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে (www.educationboardresults.gov.bd) রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ফল জানতে পারবেন। এছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.dhakaeducationboard.gov.bd) ‘রেজাল্ট কর্নার’-এ গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে। এজন্য মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে বোর্ডের ইংরেজি নামের প্রথম তিন অক্ষর (যেমন ঢাকা বোর্ডের জন্য DHA, রাজশাহী বোর্ডের জন্য RAJ, মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য MAD), স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, আবার স্পেস দিয়ে পরীক্ষার সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য, গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি পাসের হারেও বড় ধরনের পতন ঘটেছে। শিক্ষাবোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশ্নের মান ও পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার দুটি কারণেই এবারের ফলাফল তুলনামূলক কম হয়েছে।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























