তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে পঞ্চম দিনের মতো শুনানি চলছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে কার্যক্রম মুলতবি করা হয়েছিল। সেদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী শিশির মনির।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দাখিল করা এই আপিলগুলোর মধ্যে রয়েছে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের করা আবেদন। এর আগে ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ।
গত ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চূড়ান্ত শুনানিতে প্রথম দিন বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। পরে বিএনপি, জামায়াত ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রশ্ন করে বলেন, 'রায়ের মাধ্যমে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হয়, তবে সেটি সংসদের ক্ষমতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কি না। পাশাপাশি, এমন ব্যবস্থাকে কি অন্তর্বর্তী সরকারের সংজ্ঞায় ফেলা যায়—সে বিষয়েও আদালতের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু হয়। তবে ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়, যা ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের সেই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর ২০১১ সালে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এখন সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ এই শুনানি।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























