বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

|১৩ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

ঐকমত্য কমিশন ঐক্য নয়, অনৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
‘দেশকে এগিয়ে নিতে ব্যক্তিচিন্তা বাদ দিয়ে জাতীয় অগ্রাধিকারকে তুলে ধরুন’
আ.লীগকে নির্বাচন ফিরিয়ে আনার সাহস জাপা কোথা থেকে পায়: নাহিদ ইসলাম
হাসিনা ফ্যাসিবাদের সূচনা করে ২৮ অক্টোবর : রিজভী কবির রিজভী
দুই বিমান হারিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মার্কিন রণতরি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছে
নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের
সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট নয়: বিএনপি
সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে: মাহফুজ আলম
নিজেই সাজিয়েছেন নিজের অপহরণের নাটক: জিএমপি
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করল ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২৭ আগস্ট ২০২৫

লাঠিচার্জে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাইলেন বুয়েট ভিসি

লাঠিচার্জে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাইলেন বুয়েট ভিসি
ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে এসে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ‘যমুনা’ অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছিলেন। সভ্য সমাজে এমন আন্দোলনের জবাবে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, পুলিশের হামলায় বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসে গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে, তবে অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

বুয়েট ভিসি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় তিনি ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার একটি কমিটি গঠন করলেও শিক্ষার্থীরা সেটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা চান, ওই কমিটির সদস্যরা আন্দোলনকারীদের সামনে এসে সরাসরি বক্তব্য দিন এবং আশ্বাস দেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন।

এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন করে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। বিকেলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকারের গঠিত কমিটি ‘প্রতিনিধিত্বহীন’ এবং তা ‘অগ্রহণযোগ্য’।

সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ