শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২২ অক্টোবর ২০২৫

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হতে পারে বৃহস্পতিবার

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হতে পারে বৃহস্পতিবার
ছবি: সদ্য সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানেসংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্ধারণ হতে পারে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

মিজানুল ইসলাম বলেন, 'আজকে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামীকাল চিফ প্রসিকিউটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য রাখবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হবে।'

এদিন বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিন দিনের টানা যুক্তিতর্ক শেষে তিনি তার মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন জানান। তিনি সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে খণ্ডন উপস্থাপন করেন এবং রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করেন।

পরে রাজসাক্ষী মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম ও সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্যরা।

এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিনের যুক্তিতর্ক শেষে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে আবেদন করে। সেই সঙ্গে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে আদালতের বিবেচনার ওপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয় তারা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

মামলার মোট অভিযোগপত্রের পৃষ্ঠাসংখ্যা আট হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকার বিবরণ। এই মামলায় ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দাখিল করে।

সদ্য সংবাদ/এমটি