বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তৌফিকা করিমের আরও ৮৭ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

তৌফিকা করিমের আরও ৮৭ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ছবি: সংগৃহীত

সিটিজেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান তৌফিকা করিমের আরও ১১৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৮৭ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

তার আগেও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বিশ্বস্ত’ আইনজীবী তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ এসেছে। নতুন করে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তার ১১৪টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের এসআই মো. মনিরুজ্জামান। এসব হিসাবে ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬ টাকা রয়েছে। হিসাবগুলোতে তার আগে ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ১৩১ টাকা অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে আদালতে বলেছেন তিনি।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'আমরা তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান করছি। তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।'

আবেদনে তিনি বলেছেন, আনিসুল হক আইনমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতে আসামির জামিন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্ম’ করেছেন তৌফিকা। এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে তিনি ‘ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি কেনার পাশাপাশি বিদেশেও অর্থ পাচার’ করেছেন।এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন, কারণ তা না হলে এই অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর হতে পারে।'

গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ১৪ অগাস্ট বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আনিসুল হকের সঙ্গে তৌফিকা করিমের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করে।

এরপর সিআইডি তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করার কথা জানায়। তৌফিকা করিমকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বান্ধবী ও ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত’ হিসেবেও তুলে ধরে পুলিশের এই অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

অভিযোগ অনুসন্ধানের কারণ দেখিয়ে এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। আর এপ্রিলে ৩৮ ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪৩ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৬০ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ আসে। দুদকও তৌফিকার বিরুদ্ধে ৫৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে মামলার অনুমোদন দেয়।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ