বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ২১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৪:৫৩, ২১ আগস্ট ২০২৫

সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘদিন পর অপহরণ, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিনি অভিযোগপত্র জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, বালি অভিযোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাঈদী একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তার জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলাম আমি।’

তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে অপহরণ করা হয়, আটক রাখা হয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার পাওয়ার তার অধিকার রয়েছে। বালি প্রসিকিউশন অফিসে এ সংক্রান্ত পূর্ণ বিবরণসহ লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

বালি বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর তিনি সাক্ষ্য দিতে এসে সাদা পোশাকধারী পুলিশের হাতে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২ মাস ১৭ দিন গুম করে রাখা হয় এবং পরে সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পাঁচ বছর জেলে ছিলেন।

তার আইনজীবী পারভেজ হোসেন জানান, অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, সাবেক প্রসিকিউটর হায়দার আলীসহ মোট ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুখরঞ্জন বালি জামায়াতের প্রয়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনের চত্বর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সাক্ষী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপক আলোচনার বিষয় ছিল।