বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

|২০ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২০ জুলাই ২০২৫

ভয়েস রেকর্ডে আদালতের আদেশ দেখানো হয়নি: ইনু

ভয়েস রেকর্ডে আদালতের আদেশ দেখানো হয়নি: ইনু
ছবি: ইন্টারনেট

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেছেন, আদালতের আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কারাগারে গিয়ে তার ভয়েস রেকর্ড করেছেন।

রোববার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ইনু বলেন, ‘আমার কণ্ঠ পরীক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কোনো ট্রাইব্যুনালের আদেশ দেখানো হয়নি। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।’

তবে এই অভিযোগ নাকচ করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ীই ভয়েস রেকর্ডসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রসিকিউটরের লিখিত নির্দেশে এবং ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়েই ইনুর কণ্ঠ রেকর্ড করা হয়েছে।’

এ সময় ট্রাইব্যুনাল সতর্ক করে বলেন, ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনে আমরা আসামিদের বা তাদের স্বজনদের বক্তব্য শুনব। তবে আসামিরা যেন আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন না ঘটান, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’

৭ মামলায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের সময়সীমা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত
ট্রাইব্যুনাল একইসঙ্গে জুলাই-আগস্টের হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক ৭ মামলায় ৪৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যান্য সাবেক মন্ত্রী ও উপদেষ্টারাও এই মামলার অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১৫ বছরের শাসনকাল। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও গণহত্যার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। আন্দোলনটি এক পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।

পরে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ