হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই আসামিকে আটক করল র্যাব–১
গাজীপুরে গৃহবধূ রহিমা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই সন্দিগ্ধ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–১। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর রাতে গাজীপুরের বাইমাইল নওয়াব আলী মার্কেটের ‘একতা ভিলা’র পাঁচতলার ভাড়া বাসায় ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গৃহবধূ রহিমা খাতুন (৩৮)–কে গলা কেটে হত্যা করে। একই সময় তাঁর স্বামী ইমরান (৩৯)–কে গলা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ইমরানকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর রাতেই নিহতের ভাই মো. আব্দুর রহিম (২৮) কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই র্যাব–১–এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের বিশেষায়িত দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে ক্লুলেস হওয়ায় প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ, মাঠতদন্ত ও গোপন সূত্রের সহায়তায় সন্দিগ্ধদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার দুইজন হলেন—মো. আইনুল ইসলাম ওরফে বুলেট (২২) এবং রাজীব (২০)। আইনুলকে নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী এলাকা এবং রাজীবকে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দেপাড়া বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে র্যাব–১, র্যাব–৬ ও র্যাব–১১–এর যৌথ দল সমন্বিত এ অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব–১ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাফিজ বিন জামাল বলেন, “ঘটনাটিকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করেছি। কোনো প্রত্যক্ষ সূত্র না থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তি, গোয়েন্দা তথ্য ও মাঠতদন্ত মিলিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সন্দিগ্ধদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কেউই আইনের বাইরে থাকতে পারবে না।”
গ্রেপ্তার দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত থাকবে।



























