শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ১০ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৬:৪৫, ১০ জুলাই ২০২৫

বন্যায় ফেনীতে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বন্যায় ফেনীতে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

বন্যা পরিস্থিতির কারণে ফুলগাজী ও পরশুরামের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। দুই উপজেলায় প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় বানভাসি মানুষ পড়েছেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার বিপাকে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, ফুলগাজীর আমজাদহাট, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, শ্রীপুর, গোসাইপুর, গাবতলা, কহুমা, জগতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। একইভাবে পরশুরামের ধনীকুন্ডা, শালধর, বেড়াবাড়িয়া এলাকাও নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন।

পশ্চিম ঘনিয়ামোড়ার একাধিক বাসিন্দা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প পথ অবলম্বন করা যায়, কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলে দেশে-বিদেশে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন, গত বছরের বন্যার অভিজ্ঞতা থেকেও মোবাইল অপারেটররা শিক্ষা নেয়নি। টাওয়ারে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলে সংকটে থাকা মানুষের জন্য তা বড় সহায়তা হতো।

পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, “উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ অনেক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম হাবিবুর রহমান জানান, “মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উপজেলার প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফুলগাজীতে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার।”

সম্পর্কিত বিষয়: