সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব শফিউল আলমকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে কক্সবাজারে ১৫৫ দশমিক ৭০ একর বনভূমি বরাদ্দ নিয়ে শহীদ এ টি এম জাফর আলম মাল্টিডিসিপ্লিন একাডেমি নির্মাণ করেছেন।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে শফিউল আলম সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব শফিউল আলম বনভূমি দখল করেছেন বলে দুদকের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি। সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত সরবরাহ করা হবে।’
জানা যায়, ২০১৬ সালে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং মৌজায় ১৫৫ দশমিক ৭০ একর জমি শহীদ এ টি এম জাফর আলম ক্যাডেট কলেজের নামে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। বন্দোবস্তের সময় জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৭৭ লাখ ৭ হাজার ১৫০ টাকা, কিন্তু মূল্যে তা দেওয়া হয় মাত্র ৭ লাখ ৭০ হাজার ৭১৫ টাকা। পরে কলেজের নাম পরিবর্তন করে শহীদ এ টি এম জাফর আলম মাল্টিডিসিপ্লিন একাডেমি রাখা হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দপত্রে দেশের অন্যতম জীববৈচিত্রসমৃদ্ধ বনভূমিকে অকৃষি খাসজমি হিসেবে দেখানো হয়েছিল। বন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর আপত্তি জানায়, কারণ বন্দোবস্ত দেওয়া জমি গেজেটভুক্ত রক্ষিত বনভূমি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য ২১ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। পরে ১০ ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় বন্দোবস্ত বাতিল করে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাসুদ কামাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বন্দোবস্তকৃত জমিটি গেজেটভুক্ত বনভূমি হওয়ায় তা বাতিল করা হলো।’
বন বিভাগের অভিযোগ, বন্দোবস্তকৃত ১৫৫ দশমিক ৭০ একর জমিতে থাকা লাখ লাখ গাছ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব শফিউল আলমের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা রাতারাতি কেটে বিক্রি করা হয়েছে।



























