কানের দুলই কা’ল হয়ে দাঁড়ালো ৪ বছরের আফসির জীবনে
কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজের একদিন পর চার বছরের শিশু নুসরাত আফসি মনির লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। পাশের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সোমবার দুপুরে তার মৃতদেহটি পাওয়া যায়। রোববার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় এই শিশু। নিহত আফসি মনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের হোয়াকিয়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের কন্যা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ির উঠানে খেলার সময় হঠাৎ নিখোঁজ হয় আফসি। আত্মীয়স্বজনসহ স্থানীয়রা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। পাশের দিলদার আহমদ মেম্বারের পুকুরেও একাধিকবার জাল ফেলে খোঁজ নেওয়া হয়, কিন্তু কোনো ফল মেলেনি।
২৪ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে একই পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধার সময় শিশুটির শরীর ছিল নরম, কানের দুল দুটি অনুপস্থিত ছিল এবং মুখে কস্টেপ বা প্লাস্টারের দাগ পাওয়া যায়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
স্থানীয়দের ধারণা, কানের দুল ছিনিয়ে নিতে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তারা মনে করছেন, দুল ছিনিয়ে নেওয়ার পর শিশুটি অপরাধীদের চিনে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহল।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।



























