কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের ভাঙনে শতশত পরিবার নিঃস্ব

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের দামালগ্রাম এলাকায় দুধকুমার নদের ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নতুন সুইচগেট থেকে পাঁচমাথা পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনে বসতভিটা, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন শতশত পরিবার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক সপ্তাহে এ এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুধু চলতি মাসেই প্রায় ৮০টির মতো বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে পরিবারগুলো স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তারা জানান, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আরও শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পথে বসবে। ভাঙনের কারণে পার্শ্ববর্তী একটি বাজার, পাঁচটা মসজিদ, দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হুমকির মুখে রয়েছে। খুব দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এগুলো নদীতে হারিয়ে যাবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে চর দামালগ্রাম উত্তর তীর সংলগ্ন নদী তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানারে শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উপজেলা শাখার সভাপতি লাভলু মিয়া, গোলজার হোসেন, রহমত আলী, তৈয়বুর রহমান ব্যাপারী, আমজাদ হোসেন ও সাফেরউদ্দিন ব্যাপারী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, প্রতিদিন ভাঙনের গতি বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই দামালগ্রাম এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এবং শত শত পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সভাপতি লাভলু মিয়া মানববন্ধনে বলেন, সরকার দুধকুমার নদের পশ্চিম তীর রক্ষায় বাজেট বরাদ্দ দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক তদারকি না থাকায় এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনারা যদি অতি দ্রুত নদী রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেন, তবে নদীতে ভাঙনে হারানো বাড়িগুলো সরকারি অফিস ও সরকারি জায়গায় স্থাপন করা হবে। এ সময় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।