কুমিল্লায় মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আসামী ২২শ

কুমিল্লার হোমনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ঘিরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজার ও কয়েকটি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এলাকায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্টের অভিযোগে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে যুবককে শাস্তির দাবি তোলে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা-ভাঙচুর করে। ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামাল দেয়।
শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা প্রায় পুরুষশূন্য।
এদিকে গ্রেফতার যুবকের মা বলেন, 'ছেলে কে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম। এরপরও আমাদের মাজার ও বাসা বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হলো। পুলিশ কোন নিরাপত্তা দিতে পারলো না কেন? এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হই। টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। জীবনটা কোনো মতে রক্ষা করেছি।'
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মাজারে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।