তালাকের পর ধর্ষণ, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

তালাক গোপন রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুই সন্তানের জননী।
বুধবার (৩০ জুলাই) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা সিপু।
অভিযুক্তের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায়। মামলার একমাত্র আসামি পটুয়াখালী জেলার পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের সেকান্দার আলী আকনের ছেলে আবদুল মান্নান (৪৫)।
জানা যায়, বাদী দুই সন্তানের জননী ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন- তার স্বামী আবদুল মান্নানের সংসারে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। বাদী তার বাবার বাড়ি সন্তান দুইটি নিয়ে জুন মাসের শেষ দিকে বেড়াতে আসেন। ১ জুলাই সন্ধ্যায় আসামি বাদীর বাবার বাড়িতে আসেন। রাতে বাদীর সঙ্গে থেকে সকালে মান্নান ঢাকায় চলে যান। পরে ৭ জুলাই পোস্ট অফিসের ডাকপিয়ন বাদীকে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি দেন। এতে দেখা যায়- আসামি ২৫ জুন তাকে রেজিস্ট্রি তালাক দিয়েছেন।
বাদী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্বামী ২৫ জুন আমাকে তালাক দিয়ে গোপন রেখে ১ জুন বাবার বাড়ি এসে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আমি জানতাম মান্নান আমার স্বামী। তিনি জানতেন আমি তার স্ত্রী নই। আমাকে তালাক দিয়ে সেই তালাক গোপন করে আমাকে ধর্ষণ করেছেন।
এ ব্যাপারে আবদুল মান্নান বলেন, বাদীর অভিযোগ সঠিক নয়। তালাক দেওয়ার পরে আমি শ্বশুরবাড়ি যাইনি। বাদীর সঙ্গে আমার দেখাও হয়নি।