রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শাহজালাল বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন, ঢাকাগামী ফ্লাইট যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতায়

শাহজালাল বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন, ঢাকাগামী ফ্লাইট যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতায়
ছবি: ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট। এ ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন। শুরুতে বিমান বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ সিভিল এভিয়েশন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান, পরে পর্যায়ক্রমে আরও ইউনিট যোগ দেয়।

বিমানবন্দরের সূত্রে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে অবস্থিত। এখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার পর ঢাকাগামী একাধিক ফ্লাইট বিকল্প রুটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ব্যাংকক থেকে আসা ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। দিল্লি থেকে আসা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট নামানো হয়েছে কলকাতায়। শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটটিও চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে।

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কুয়ালালামপুরগামী বাটিক এয়ারের ওডি–১৬৩ এবং মুম্বাইগামী ইন্ডিগোর ৬ই–১১১৬ ফ্লাইট বর্তমানে ট্যাক্সিওয়েতে আটকে আছে। হংকং থেকে আসা ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি বিমান আকাশে চক্কর দিচ্ছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে তার অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুর থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট ঢাকায় না নেমে চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। একইভাবে ইউএস–বাংলার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর পুনরায় চট্টগ্রামে ফিরে গেছে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানিয়েছেন, কার্গো সেকশনের পাশের একটি অংশে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

বেবিচকের সহকারী পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাউছার মাহমুদ বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে কার্গো এলাকায় হঠাৎ আগুন দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট, বিমানবাহিনীর ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ