মধ্যযুগীয় কায়দায় হাসিনাকে খুন, অতঃপর যা ঘটলো...

হাসিনা বেগম (৬৩) নামে এক বৃদ্ধাকে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাজেদুল হক সাজু (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ রোববার নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
নিহত হাসিনা বেগমের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার জোয়ানেরপাড়া গ্রামে। তার স্বামী নুরুল ইসলাম ২০ বছর আগে মারা গেছেন। একমাত্র মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ধলপুরের ওই বাসায় একাই থাকতেন তিনি এবং অন্যের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
নিহতের ভাতিজা আশরাফ আলী জানান, ধলপুরের ওই এলাকায় সাজেদুল হক সাজু নামের ওই যুবক ঘোরাফেরা করতেন। তখন হাসিনা বেগমের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় এবং নিজের নাতির মতো তাকে দেখতেন। হাসিনার বাড়িতে থাকতেন ও বাজারসদাই করে দিতেন। গতকাল শনিবার সকালে শিল দিয়ে হাসিনার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করেন তিনি। এরপর বাইরে থেকে দরজা তালা লাগিয়ে পাশের দোকানে গিয়ে চা পান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন হাসিনাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিল না। একপর্যায়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় ঘরের ভেতর রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে আছে তার। পরে দোকান থেকে সঙ্গে সঙ্গে সাজেদুলকে ধরে আনা হলে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আশরাফ আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে সাজেদুল একাই তাঁকে হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে কেন করলেন, তা এখনো জানা যায়নি।