রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১১, ৭ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৩:২২, ৭ অক্টোবর ২০২৫

রপ্তানিতে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত, দুশ্চিন্তায় রপ্তানিকারকরা

রপ্তানিতে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত, দুশ্চিন্তায় রপ্তানিকারকরা
ছবি: সংগৃহীত

টানা দুই মাস ধরে দেশের রপ্তানি আয়ে নিম্নমুখী ধারা বজায় রয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে এই পতন সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যার রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং বোনা পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে মাসিক পতনের পরও চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সামগ্রিক রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তৈরি পোশাকের পাশাপাশি কৃষিপণ্য, রাসায়নিক দ্রব্য, প্লাস্টিক, তুলা ও তুলাজাত পণ্যের রপ্তানিও কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশের রপ্তানিতে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পোশাকপণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ক্রেতারা সেই বাড়তি খরচ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) জানিয়েছে, এই অতিরিক্ত চাপ বহন করা রপ্তানিকারকদের পক্ষে অসম্ভব। সংগঠনটির পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয়, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপে রপ্তানিকারকরা আগেই বিপাকে ছিলেন। এর ওপর নতুন শুল্ক ও বাজার অনিশ্চয়তা রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

রপ্তানিকারকদের দাবি, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। তারা সরকার ও ক্রেতা দেশগুলোর কাছে ন্যায্য সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ