শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ৬ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৪:৫১, ৬ জুলাই ২০২৫

চ্যালেঞ্জের মাঝেও আইপিডিসির মুনাফায় দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি

চ্যালেঞ্জের মাঝেও আইপিডিসির মুনাফায় দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির স্থবিরতা ও আর্থিক খাতে অপ্রদেয় ঋণের ঊর্ধ্বগতির মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে শক্তিশালী আর্থিক ফলাফল অর্জন করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটি নিট মুনাফায় প্রায় ৯৮.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ মিলিয়ন টাকা।

এই প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি ছিল সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ থেকে পাওয়া উচ্চ রিটার্ন। এছাড়া আর্থিক শৃঙ্খলা, কৌশলগত সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক কার্যক্রম আইপিডিসির ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.০৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০৫ টাকা। সুদের আয় ১৬.১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২,২৮৮ মিলিয়ন টাকা, যদিও অর্থায়ন ব্যয় বেড়েছে ২২.৯ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সরকারি সিকিউরিটিজ থেকে আয় ২০৮.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ মিলিয়ন টাকায়। এর ফলে মোট বিনিয়োগ আয় বেড়ে হয়েছে ২৩৯ মিলিয়ন টাকা, যা বছরে ১৩৪.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। পরিচালন আয় ১৪.৯ শতাংশ বেড়ে ৭৫৭ মিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে, এবং পরিচালন মুনাফা ২৬.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৪ মিলিয়ন টাকা।

খরচ নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা ধরে রাখায় পরিচালন ব্যয় কেবল ৫.৩ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৮৬ টাকা, যেখানে আগের বছর তা ছিল মাইনাস ১২.৩৯ টাকা। একইসঙ্গে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (ন্যাভ) সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৮৩ টাকা।

২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত আইপিডিসির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯,৫১১ মিলিয়ন টাকা। গ্রাহক আমানত ৭.৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৫,৭৮৬ মিলিয়ন টাকা, যা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (NBFI) খাতে তাদের প্রায় ১১ শতাংশ বাজার অংশীদারিত্ব ধরে রাখার সক্ষমতা দেখায়। যদিও বিনিয়োগ পোর্টফোলিও ৩.৩ শতাংশ কমেছে, ঋণ ও অগ্রিম পরিমাণ ১.১ শতাংশ বেড়েছে।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, ‘প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল আমাদের বহুমুখী ব্যবসায়িক মডেলের স্থিতিশীলতা ও সঠিক কৌশলের সফল প্রয়োগ প্রমাণ করে। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় বিনিয়োগ ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।’

চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আইপিডিসির এমন পারফরম্যান্স দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে আস্থার বার্তা দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদি ভ্যাল্যু তৈরিতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।