টিসিবির পণ্যে চা-সাবান যোগের দাবি দরিদ্র ক্রেতাদের

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর নির্ধারিত পণ্যের সঙ্গে চা, সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ ও ডিটারজেন্ট সংযোজনের দাবি জানিয়েছেন অতি দরিদ্র কার্ডধারী ও সাধারণ ক্রেতারা। তারা মনে করছেন, এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যুক্ত হলে তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন।
টিসিবি বর্তমানে দেশের এক কোটি দরিদ্র মানুষের মাঝে ভর্তুকিমূল্যে তেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করে। ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ১১৫ টাকা, ডাল প্রতি কেজি ৭০ টাকা এবং চিনি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে বাজারমূল্য তুলনামূলক অনেক বেশি।
টিসিবির ট্রাকে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে আসা বহু ক্রেতা জানান, বাজারের চড়া দামে চা-সাবানসহ এই অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কেনা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠছে। তাই তারা চান, এসব পণ্যও টিসিবির মাধ্যমে কম দামে যেন পাওয়া যায়।
টিসিবির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম শাহীন পারভেজ জানান, বর্তমানে সারা দেশে ৫৭-৫৮ লাখ কার্ডধারীকে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, যা শিগগিরই আবার এক কোটি পর্যন্ত উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৮,৫০৬ জন ডিলারের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করা হয় এবং অনিয়ম ঠেকাতে পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটালভাবে মনিটর করা হয়।
চা, সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ ও ডিটারজেন্ট টিসিবির পণ্য তালিকায় যুক্ত করা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই দাবিটি আমি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরব।”
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়সল আজাদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দরিদ্র মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি জরুরি পরিস্থিতিতেও আলু, পেঁয়াজ, ছোলা, খেজুরের মতো মৌসুমি বা সংকটকালীন পণ্য সরবরাহ করে থাকে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করা টিসিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।