বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ১৫ জুলাই ২০২৫

জীবনে সচ্ছলতা আসে ও আয়ু বাড়ে আত্মীয়তা রক্ষায় 

জীবনে সচ্ছলতা আসে ও আয়ু বাড়ে আত্মীয়তা রক্ষায় 

‘আত্মীয়’ শব্দের অর্থ স্বজন, জ্ঞাতি বা কুটুম্ব। এর আরবি প্রতিশব্দ হলো ‘আর-রাহিমু’ বা ‘যুর রাহিমে’। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার তাৎপর্য হলো- আপনজনদের খোঁজখবর রাখা এবং তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। ইবনুল আছীর বলেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক মানে হচ্ছে বংশীয় ও বৈবাহিক আত্মীয়দের প্রতি অনুগ্রহ ও সহানুভূতি প্রদর্শন, তাদের অবস্থার খোঁজ রাখা, এমনকি তারা দূরে থাকলেও কিংবা খারাপ ব্যবহার করলেও।

হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিনটি গুণ যার মাঝে থাকবে, পরকালে তার হিসাব সহজ হবে এবং আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলে, রাসুল (সা.) বলেন,  যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তাকে দান করো; যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তাকে ক্ষমা করো; আর যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়, তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখো (হাদিস: মুসতাদরাকে হাকেম, ৩৯১২)।

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করলে মানসিক প্রশান্তি আসে, রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং আয়ু দীর্ঘ হয়। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে চায় তার জীবিকায় বরকত হোক এবং আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।” (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ্ মুসলিম: ৬২৯২)

অপরদিকে, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করাকে ইসলাম একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, “ক্ষমতায় গেলে তোমরা হয়তো পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ তাদেরকেই করেন অভিশপ্ত, যাদের তিনি বধির ও অন্ধ বানিয়েছেন।” (সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩)

সর্বশেষ