আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সরকারের অধীনে দেশে ফিরব না : ফ্যাসিস্ট হাসিনা
নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় দলটিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হলে দেশে ফিরবেন না বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) তিনি বলেন, এমন হলে তিনি ভারতেই থাকবেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন।
‘ক্ষমতাচ্যুতির পর গণমাধ্যমে প্রথম সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার বলেন, আওয়ামী লীগকে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া না হলে তার দলের লাখো সমর্থক ভোট বর্জন করবে।’ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর নোবেল জয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছে। এবং সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
গত মে মাসে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ তদন্তের স্বার্থে দলটির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
শেখ হাসিনা রয়টার্সকে আরও বলেন, তার দলের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অবিচার হিসাবে উল্লেখ করেন। দেশে লাখ লাখ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। তাই বর্তমান অবস্থায় তারা ভোট দেবে না। আমরা আওয়ামী লীগের ভোটারদের অন্য দলকে সমর্থন করতে বলছি না। আমরা এখনো আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত আমাদেরকেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভিন্নমত দমনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০০৯ সালের পর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন। এর মধ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, যা আমি-ডামির নির্বাচন নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোট অংশ নেয়নি। কারণ, তাদের শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই কারাগারে অথবা নির্বাসনে ছিলেন।
জাতিসংঘ তার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে হওয়া বিক্ষোভে দেশে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির শিকার হন। রয়টার্স বলছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























