বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

|৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে আহ্বান জামায়াতের
আরও ৫৮৬টি মামলার মুখোমুখি হবে শেখ হাসিনা!
পাকিস্তানের নির্দেশে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: শুভেন্দু অধিকারী
হাসিনার রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের দীর্ঘ স্ট্যাটাস
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে সমর্থন জাতিসংঘের, প্রত্যাখ্যান হামাসের
স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে ৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং: ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা সিআইডির
শেখ হাসিনা ও কামালের ফাঁসির আদেশ, মামুনের ৫ বছর কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানাল ভারত
মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঐতিহাসিক বলল অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: বিশ্বমিডিয়ায় আলোচনার ঝড়
গ্রেফতারের দিন থেকে সাজা কার্যকর: অ্যাটর্নি জেনারেল
ডিজেলভর্তি ট্যাংকারের সঙ্গে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসের সংঘর্ষ, নিহত ৪২
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভোটার, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ IT সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-www.ecs.gov.bd এবং নির্বাচন কমিশনের ইউটিউব চ্যানেলে- @BangladeshECS চোখ রাখুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৩:৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সারাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু

সারাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারাদেশে টাইফয়েড প্রতিরোধে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। আগামী এক মাস ধরে সারাদেশে বিনামূল্যে ইনজেক্টেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নূরজাহান বেগম বলেন, 'আমাদের দেশে এখনও শিশুরা টাইফয়েডে মারা যায়, এটা লজ্জার বিষয়। যেমন আমরা ডায়রিয়া ও রাতকানা প্রতিরোধে সফল হয়েছি, ইনশাআল্লাহ এবার টাইফয়েডও প্রতিরোধ করতে পারব।'

তিনি আরও বলেন, 'রোগ প্রতিরোধ এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যাবে, তত কমবে হাসপাতালের ভিড় ও চিকিৎসা ব্যয়। টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমরা যদি প্রতিটি শিশুর কাছে এই টিকা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত বন্ধ করা যাবে। এতে আমাদের জনস্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হবে।'

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

তিনি বলেন, 'এটা শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টাইফয়েড দীর্ঘদিন ধরে নীরব বিপদ হয়ে ছিল, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য। এই কর্মসূচি সেই দুর্বল জায়গায় বড় পরিবর্তন আনবে। আমি আশা করি, প্রতিটি অভিভাবক সচেতনভাবে অংশ নেবেন এবং তাদের সন্তানদের টিকা নিশ্চিত করবেন।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী, এই টিকা সব শিশুই পাবে, এমনকি যাদের জন্মনিবন্ধন নেই তারাও বাদ যাবে না।

জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা। আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্যাভি (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন) এই টিকা সরবরাহে সহায়তা করছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের শিশুস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় সূচনা করবে এবং টাইফয়েড নির্মূলে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।