বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

|৬ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ০১:১৬, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

সাব-জেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তা, ৩৫ কারারক্ষী নিরাপত্তায়

সাব-জেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তা, ৩৫ কারারক্ষী নিরাপত্তায়
ছবি: সংগৃহীত

গত ১৭ বছরের বিভিন্ন সময় গুম, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী তিনটি মামলার প্রেক্ষিতে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকার সেনানিবাসে স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে রাখা হবে। তবে এটি কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং সার্বিক দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে।

সচিবালয়ে বুধবার (২২ অক্টোবর) ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসামিরা আত্মসমর্পণ করেছেন। সেনা প্রশাসন ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।” তিনি আরও বলেন, সাব-জেল বা অন্যান্য কারাগারে তাদের স্থান নির্ধারণের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন জানান, ১৫ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং তাদের জামিনের আবেদন ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়া প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন ও সাব-জেলে রাখার আবেদনও করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “কারা কর্তৃপক্ষই নির্ধারণ করবেন আসামিরা কোন কারাগারে বা সাব-জেলে থাকবেন। ঢাকায় রাখবেন না চট্টগ্রামে পাঠাবেন, সব সিদ্ধান্ত সরকারের অধীনে কারা কর্তৃপক্ষ নেবেন।”

নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য রানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে সাব-জেল পরিচালিত হবে। আজকের জন্য ৩৫ জন কারারক্ষী নিয়োজিত থাকবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে, জানিয়েছেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ ইসলাম।

আদেশের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজনভ্যানে স্থানান্তর করা হয়েছে।

১৫ সেনা কর্মকর্তা হলেন- র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

সর্বশেষ

আরও পড়ুন