‘গুমের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’

বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) মাধ্যমে বিচার শুরু করার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় “জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” হিসেবে অভিহিত করে।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো সামরিক কর্মকর্তাদের গুম ও নির্যাতনের মতো অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার নজির স্থাপন করেছে। এই পদক্ষেপ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হতে পারে।
সংস্থাটি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বিচার কার্যক্রম অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে পরিচালিত হওয়া জরুরি যাতে থাকে যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়া, ন্যায়সঙ্গত শুনানি এবং বেসামরিক আদালতে বিচার নিশ্চিতের শর্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি অঙ্গীকার বজায় রেখে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখ করেছে, মামলাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এটি প্রথমবারের মতো সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে বেসামরিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করার ঘটনা।
চলতি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্র গ্রহণের পর অভিযুক্ত ১৫ কর্মকর্তাকে আটক করে। এরপর থেকে তাঁদের ঢাকার সেনানিবাসের একটি সাব-জেলে রাখা হয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।