যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন খায়রুল হকের

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এমকে রহমান।
এর আগে ৩১ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। খায়রুল হকের পক্ষে আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন শুনানিতে বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিকে হয়রানির উদ্দেশ্যে গত ২৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার ঘটনা ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই হলেও প্রায় এক বছর পর, ৬ জুলাই, মামলা দায়ের করা হয়। এত দেরিতে মামলা করার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
শুনানিতে তিনি বলেন, খায়রুল হক ২০১১ সালের ১৭ জুন অবসরে যান এবং ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তার বাড়ি ও চলাচলে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারা ছিল, যা পুলিশের রেকর্ডে রয়েছে। ঘটনার দিন তিনি আইন কমিশনের দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসায় ফিরে আসেন এবং যাত্রাবাড়ীতে যাননি। তার বয়স ৮১ বছর এবং তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছেন, তাই জামিন প্রয়োজন।
২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ এবং সেদিনই কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় ও জাল রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার মামলায় ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তার বাবা আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন, যেখানে শেখ হাসিনাসহ মোট ৪৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।