সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫

|২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ২৩ জুলাই ২০২৫

ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা: হাসনাত

ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা: হাসনাত
ছবি: সংগৃহীত

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে অযোগ্য এবং স্বজনপ্রীতির প্রতীক হিসেবে আখ্যা দেন।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আছেন, চেনেন ওনাকে? উনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই ব্রাদার কোটায় এসেছেন। ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।’

হাসনাত আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো প্রয়োজন নেই। উনি যে বেতনটা নেন, সেটা অন্যায়ভাবে। সরকারের টাকায় যে গাড়িতে চড়েন, তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। উনি কিছুই বোঝেন না চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যন্ত্রপাতি কোনো বিষয়ে তার জ্ঞান নেই। তার একমাত্র যোগ্যতা হলো, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন এবং ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।’

তিনি বলেন, ‘এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজেই চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুরে যান। জনগণের অর্থে পাওয়া বেতন রাষ্ট্র কোষাগারে ফেরত দিয়ে তার অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আগের মতোই আছে, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থারও উন্নতি হয়নি। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ লাশের ওপর দিয়ে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের অধ্যায় বন্ধ করেছি। ভবিষ্যতে তাদের পুনরুত্থানের সব পথ বন্ধ করে দেব। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমরা একটি নিরাপদ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ব যেখানে দুর্ঘটনার ভয় থাকবে না, থাকবে সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা।’

এর আগে বুধবার সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শহীদদের মায়েরা কান্না করতে করতে চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান বিচার হয়নি। খুনি হাসিনা ও অন্যান্য দায়ীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সরকার যেন অন্য কোনো বিষয় না ভেবে বিচার নিশ্চিত করে।’

পরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সারজিস আলম, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতারা। এ সময় স্বজন হারানো পরিবারগুলো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানান।

এরপর ঢাকার বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পথসভা শেষে হাজীগঞ্জে শহীদ আজাদ চত্ত্বরের উদ্বোধন এবং শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গায় পদযাত্রা শেষে নেতাকর্মীরা কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন।