গণমাধ্যম সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সাংবাদিকতা ও সম্প্রচারমাধ্যমে ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যেই জারি হবে। এছাড়া সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পত্রিকার বিজ্ঞাপন হারের যৌক্তিক পুনর্বিন্যাস, পাঠক-দর্শকের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি যাচাইয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে বার্ষিক জরিপ চালানো, এবং বিজ্ঞাপন শিল্পে প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণ রোধে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এফএম রেডিও লাইসেন্সের জামানত ফি যৌক্তিকভাবে কমানো হবে এবং বিজ্ঞাপন প্রচারে নির্ধারিত হারে ফি প্রদান নিশ্চিত করা হবে। বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর ২ শতাংশ সরকারি ফি বাতিল করা হলেও সরকারি ঘোষণা বিনামূল্যে প্রচার করতে হবে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কলাম লেখক, শিল্পী ও অতিথি আলোচকদের সম্মানির ওপর অগ্রিম কর বাতিলের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য বিএসসিএল-এর মাধ্যমে আপ-লিংক ও ডাউন-লিংক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে বিএসসিএল-এর সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়া, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পাঠ্যসূচি হালনাগাদ করা এবং তাদের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য সার্ভিস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তও প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।