বিএনপি ছাড়া সবাই নির্বাচন পেছাতে চায়, এমনকি সরকারও: মাসুদ কামাল

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, বিএনপি বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো, এমনকি বর্তমান সরকারও নির্বাচন পেছাতে চায়।** তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এখন তাদের আসল বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় মাসুদ কামাল বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায় এবং দ্রুত চায়। অথচ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি বা ইসলামী ঘরানার দলগুলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হওয়ার অজুহাতে নির্বাচন পেছাতে চায়। সরকারও চায় নির্বাচনটা যত দেরিতে সম্ভব, তত ভালো।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই এবং মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু ‘মৌলিক সংস্কার’ বলতে কী বোঝায়, তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে যা কিছু সংস্কার হয়েছে, তাকে ‘ভাসাভাসা’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মাসুদ কামালের মতে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং মনোবল ভাঙার চেষ্টাও নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে ইচ্ছাকৃত বিলম্বের অংশ। যতটা সম্ভব নির্বাচন পেছানোর নানা কৌশল নেওয়া হচ্ছে। আজ না হোক, কাল সরকারও বলবে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এতে বিএনপির তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দাবি একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা বললে, পুলিশকেই তো সক্রিয় করতে হবে। অথচ সেই পুলিশকেই নিষ্ক্রিয় রাখা হচ্ছে। তাই বোঝাই যাচ্ছে, দেরিতে নির্বাচন করতে চাওয়া একটা সম্মিলিত প্রয়াস।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রংপুরে এক জনসভায় জামায়াত আমির বলেন, বর্তমানে দেশে মব পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না, এবং আমরা সেটা আদায় করেই ছাড়বো।