বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ০২:৩০, ২২ অক্টোবর ২০২৫

গ্রিন টি ও লাল চায়ের মধ্যে কোনটি কখন খেলে উপকার বেশি

গ্রিন টি ও লাল চায়ের মধ্যে কোনটি কখন খেলে উপকার বেশি
ছবি: সংগৃহীত

লাল চা আর গ্রিন টি— দু’টিই তৈরি হয় একই গাছ ক্যামেলিয়া সিনেনসিস-এর পাতা থেকে। তবে প্রক্রিয়াজাত করার পদ্ধতি ও ক্যাফিনের মাত্রা ভিন্ন হওয়ায় এই দুই চায়ের গুণাগুণেও পার্থক্য দেখা যায়। তাই সকালে শরীর ও মন চাঙ্গা করতে কোনটি বেশি কার্যকর, তা নিয়ে চা-প্রেমীদের মধ্যে মতভেদ থেকে যায়।

গ্রিন টি খুব অল্প পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, ফলে এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে প্রচুর। অন্যদিকে লাল চা সম্পূর্ণ অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়, যার ফলে এর স্বাদ হয় গাঢ় ও তীব্র, এবং ক্যাফিনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।

গবেষণা অনুযায়ী, এক কাপ লাল চায়ে থাকে প্রায় ৪০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন, যেখানে গ্রিন টি-তে থাকে গড়ে ২০ থেকে ৪৫ মিলিগ্রাম। সেই কারণে সকালে দ্রুত সজাগ হতে, মনোযোগ বাড়াতে এবং কর্মোদ্যম পেতে লাল চা বেশি কার্যকর। তবে গ্রিন টি-তে থাকা এল-থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরকে ধীরে ধীরে সজাগ রাখে এবং মনকে দেয় প্রশান্তি। ফলে এটি ক্লান্তি বাড়ায় না, বরং দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি-র অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন দূর করে, হজমক্রিয়া উন্নত করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। অন্যদিকে, লাল চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

তাহলে কখন কোনটি উপযুক্ত?
সকালের শুরুতে বা কর্মব্যস্ত সময়ে চাঙ্গা থাকতে লাল চা আদর্শ। অন্যদিকে, বিকেলের পর কিংবা রাতের দিকে গ্রিন টি শরীর ও মন শান্ত রাখতে সাহায্য করে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় না। তাই একটিকে অন্যের বিকল্প ভাবা ভুল—সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী দু’টিরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ