বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ০২:০১, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বিকেল ৪টায় ফল খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা

বিকেল ৪টায় ফল খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

আপনি যদি স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার দিকে মনোযোগী হন, তাহলে অবশ্যই জানা উচিত যে ফল ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে ভরপুর। কিন্তু কি আপনি জানেন, যখন বিকেল ৪টার দিকে একটি ফল খাওয়া হয়, তখন তা শরীরে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে? পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শক্তি বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এই সময়ে ফল খাওয়া অত্যন্ত কার্যকর।

দুপুরের খাবারের পরে সাধারণত বিকেলে শক্তি হ্রাস পায়। অনেকেই এই সময়ে চা, কফি বা চিনিযুক্ত খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। যদিও এসব সাময়িকভাবে জাগরণ দেয়, অনেক সময় শক্তি আরও কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, ফল খেলে ফাইবারের সঙ্গে মিলিত প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোজ) ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং উচ্চ-নিম্ন স্তরের উঠানামি প্রতিরোধ করে।

বিকেল ৪টায় প্রতিদিন একটি ফল খাওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো:

প্রথমত, রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ক্ষুধা কমানো। এক প্যাকেট চিপস বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যার ফলে খিটখিটে ভাব, অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং অতিভোজনের প্রবণতা দেখা দেয়। আপেল, কমলা, কলা বা নাশপাতি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে। ফাইবার দীর্ঘক্ষণ তৃপ্তি দেয় এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাস্থ্যকরভাবে চিনির ক্ষুধা কমায়।

দ্বিতীয়ত, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের দৈনিক যোগান নিশ্চিত করা। প্রতিদিন একটি ফল খেলে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পায়। উদাহরণস্বরূপ, কমলা ভিটামিন সি সরবরাহ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, কলা পটাসিয়াম যোগ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, আর আপেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে অন্ত্র ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বিকেল ৪টায় এই অভ্যাস শরীরকে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ফলের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি দেয়।

তৃতীয়ত, হজম ও হাইড্রেশন উন্নত করা। অধিকাংশ ফলেই প্রচুর পানি এবং ফাইবার থাকে। বিকেলে যখন পেট ভরা বা সম্পূর্ণ খালি থাকে না, তখন ফল খেলে হজম সহজ হয় এবং পেট ফোলা এড়ানো যায়। এটি মাথাব্যথা ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।

চতুর্থত, মানসিক স্বচ্ছতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। ফল থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্লুকোজ মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। ক্যাফেইন ছাড়া এটি মনোযোগ ও উৎপাদনশীলতা পুনরায় জাগ্রত করে। ছাত্র, কর্মজীবী এবং বয়স্ক সবাই এই সময়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস ব্যবহার করতে পারেন।

পঞ্চমত, মননশীল অভ্যাস তৈরি করা। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় ফল খাওয়া শুধু পুষ্টি দেয় না, এটি আপনাকে স্থির হতে শেখায় এবং নিজের প্রতি যত্ন ও ভালোবাসা প্রকাশের সুযোগ দেয়। এই ছোট বিরতি দিনের রুটিনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ