রাতের শুষ্ক কাশি কমানোর ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন

শুষ্ক কাশি সাধারণত গলা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে, তবে কফ বা শ্লেষ্মা তৈরি হয় না। এটি প্রায়শই সর্দি বা ফ্লুর পর দীর্ঘস্থায়ী হয়। রাতভর কাশি ঘুম ব্যাহত করে এবং ধীরে ধীরে গলার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কাশির ওষুধ সাময়িক উপশম দিতে পারে, তবে প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার অধিক কার্যকর এবং নিরাপদ।
নিচে কিছু পরীক্ষিত উপায় উল্লেখ করা হলো, যা গলা প্রশমিত করে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।
১. মধু
মধু শুষ্ক কাশি কমাতে অন্যতম কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলায় আবরণ তৈরি করে, জ্বালা কমায় এবং কাশি দমন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের রাতের কাশি কমাতে মধু ডেক্সট্রোমেথরফানের চেয়েও কার্যকর।
ব্যবহার: দিনেই কয়েকবার এক চা চামচ মধু খেতে পারেন বা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে এক বছরের কম বয়সী শিশুরা মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে বোটুলিজমের ঝুঁকি থাকে।
২. হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ। ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানি চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ব্যবহার: এক চিমটি গোল মরিচের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গরম দুধ, চা বা কমলার জুসে মেশান। নিয়মিত খেলে শুষ্ক কাশি ও গলার জ্বালা কমে।
৩. আদা
আদা প্রদাহ-বিরোধী, জীবাণুনাশক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী। এটি গলার জ্বালা প্রশমিত করে এবং কাশির আক্রমণ কমায়।
ব্যবহার: আদা চা তৈরি করতে খোসা ছাড়ানো আদার টুকরা কয়েক মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। চাইলে মধু যোগ করলে স্বাদ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। দ্রুত উপশমের জন্য কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৪. পুদিনা পাতা
পুদিনার মধ্যে থাকা মেন্থল প্রাকৃতিক ডিকনজেস্ট্যান্ট ও কাশি দমনকারী। এটি গলার স্নায়ুকে শান্ত করে, কাশির তাড়না ও শ্বাসনালী সংক্রমণ কমায়।
ব্যবহার: পুদিনা চা বিশেষভাবে কার্যকর, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে। এছাড়া পুদিনা তেল বাষ্পের সঙ্গে নিঃশ্বাসে নেওয়া বা ডিফিউজারে ব্যবহার করলেও উপশম পাওয়া যায়।