বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৪২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুমুদ নৌবহরকে কেন ভয় পাচ্ছে ইসরায়েল?

সুমুদ নৌবহরকে কেন ভয় পাচ্ছে ইসরায়েল?
ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থামিয়ে দিতে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই বহরকে আটকাতে জাহাজ জব্দের কথাও বলছে তেলআবিব।

প্রায় ৫০টি জাহাজ ও নৌকা নিয়ে গঠিত এই বহরে ৪০টি দেশের ৫০০’রও বেশি শান্তিকর্মী অংশ নিয়েছেন। স্পেন থেকে যাত্রা শুরু করা বহরটি বর্তমানে গাজা থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মার্চ মাস থেকে গাজার সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকায় এবং সহায়তা আটকে দেওয়ার কারণে এ নৌবহর বিশ্বব্যাপী সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলি সেনারা ইতোমধ্যে তাদের নৌ কমান্ডো ইউনিট ‘শায়েতেত ১৩’ প্রস্তুত রেখেছে। সেনাদের হুমকি, বহরটি যদি গাজার জলসীমায় প্রবেশ করে তবে সামরিক অভিযান চালিয়ে জাহাজগুলো আটক করা হবে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি ওই কমান্ডো ইউনিট জাহাজ আটকানোর মহড়া সম্পন্ন করেছে, যা প্রমাণ করে বিষয়টিকে তারা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হুমকি প্রমাণ করে ইসরায়েল শুধু সশস্ত্র প্রতিরোধকেই নয়, মানবিক ও বেসামরিক প্রতিরোধকেও ভয় পায়। বহু বছর ধরে সামরিক, কূটনৈতিক ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে নিজেদের বৈধ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তারা। অথচ ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র মতো উদ্যোগ বিশ্ববাসীর সামনে সেই মুখোশ উন্মোচন করছে।

ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নাগরিকদের উপস্থিতি দেখাচ্ছে, ইসরায়েলের নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিবেক জেগে উঠছে। এই নৌবহর কেবল ত্রাণ সামগ্রীই নয়, বরং বিশ্বজনীন সংহতি, প্রতিবাদ ও বেসামরিক প্রতিরোধের প্রতীক বহন করছে—যা ইসরায়েলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
 

সর্বশেষ