চার্লি কার্ককের স্ত্রীকে আলিঙ্গন করে ট্রাম্প বললেন ইতিহাসও তাকে ভুলবে না

অ্যারিজোনায় গত মাসে নিহত ডানপন্থী মার্কিন অ্যাক্টিভিস্ট এবং টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভার মঞ্চে চার্লি কার্কের শোকাহত স্ত্রী এরিকাকে জড়িয়ে ধরেন ট্রাম্প।
চার্লি কার্ক একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও চাবুক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি ইসলামকে আমেরিকান সমাজের জন্য বিপদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। পরিবেশ নিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পক্ষে কোনো বাস্তব তথ্য নেই।
মার্কিন ডানপন্থিরা চার্লি কার্ককে ট্রাম্প আন্দোলনের একজন বড় ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখত, যিনি তরুণদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রক্ষণশীল আদর্শের পক্ষে সমর্থন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তব্যে চার্লি কার্ককে ‘আমেরিকান মার্টিয়ার (মার্কিন শহিদ)’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘চার্লি আমেরিকার স্বাধীনতার জন্য একজন শহিদ। আমি জানি, আজ এখানে উপস্থিত সবার পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি যে আমরা কেউ কখনো চার্লিকে ভুলব না। এবং ইতিহাসও তাকে ভুলবে না।’
চার্লি কার্কের স্ত্রী এরিকা, যিনি সম্প্রতি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর প্রধান নির্বাহী হয়েছেন, তিনিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি তার স্বামীর হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানান।
ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক হিসেবে, কার্কের মৃত্যুতে ইসরায়েলি নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে ‘ইসরায়েলের সিংহ-হৃদয় বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করে একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন, যেদিন তিনি গুলিবিদ্ধ হন।