রাশিয়ার সামরিক মহড়া, সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে পোল্যান্ড

রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার পর পোল্যান্ড তাদের সীমান্তে সেনা সংখ্যা চার গুণ বাড়িয়ে ৪০ হাজারে উন্নীত করতে চলেছে। এরই মধ্যে রুশ ড্রোনের আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়েও উত্তেজনা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়া “জাপাদ-২০২৫” শুরু হওয়ায় পোল্যান্ড তার পূর্ব সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়াচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সীমান্তে প্রায় ৪০ হাজার সেনা অবস্থান নেবে, যা বর্তমানে মোতায়েনকৃত ১০ হাজার সেনার চার গুণ।
বিষয়টি পলসাট নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলকেও জানান পোল্যান্ডের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী সেজারি টমচিক। তিনি বলেন, 'জাপাদ মহড়ার জন্য পোল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সামরিক মহড়ায় ৩০ হাজারের বেশি সেনা অংশ নিয়েছে। পোলিশ ও ন্যাটো সেনাদের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়া ও বেলারুশের এই মহড়া আক্রমণাত্মক চরিত্রের।'
টমচিক আরও বলেন, '৯-১০ সেপ্টেম্বর রাতে রাশিয়ার ড্রোন দিয়ে পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন এই মহড়ারই অংশ। সেই রাতে ১৯টি ড্রোন প্রবেশ করে, যার মধ্যে হুমকি সৃষ্টি করা ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়।'
এ ঘটনার পরদিন ক্রেমলিনসহ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, পোল্যান্ডে ভূপাতিত হওয়া ড্রোন রুশ সেনাবাহিনীর নয়। অন্যদিকে বেলারুশ দাবি করে, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়াকে তারা আগেই জানিয়েছিল যে কিছু ড্রোন পথ হারিয়ে ফেলেছিল।
এদিকে ইউক্রেন পোল্যান্ডকে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রুশ ড্রোনের মাধ্যমে পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কাল্লাস সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলেন, 'রাশিয়ার এই পদক্ষেপ গুরুতর উসকানি, আক্রমণাত্মক ও বেপরোয়া আচরণ, যা ইইউ নাগরিকদের নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।'